তখনও চিপ (জুলফি/কলি) গজায় নাই ঠিক ঠাক মত। তাতেই
কানের পাশের লোম টোম ছাইটা ছুইটা খুর দিয়ে কাইটা বড় চিপ রাখতে বলতাম নাপিতকে। আবার
বাসায় আইসা দেখতাম ক্যামন হইছে। কোনবার ডান দিকে ব্যাকা করে তো পরের বার বাম দিকে
ব্যাকা করে, কখনও সোজা, কখনও
রোনালদোর মত চিকন করে তো পরের বার দেল পিয়েরো'র মত
মোটা। চুল কাটাইতাম বেকহ্যামের মত কইরা তা মনে হয় এক
যুগ আগের কাহিনি। আরেকটু মোডিফাইড ভার্শন ছিল রোনালদোর মত। ০৭-০৮ সিজনে রোনালদোর
স্টাইল তখন পিছনের চুলেও স্পাইক। দাঁড়ায় থাকে! সেই চুল করতে, কত দিন
ধরে পিছনের চুল বড় রাখছি। সেই চুল ভাজ করে সটান হয়ে বালিশের উপর শুয়ে থাকছি কত
ঘন্টা! আবার কখনও ক্যাসিয়াস মার্কা লেয়ার কাটও মারছি। ৭/-৮ এ থাকতে লিন্কিন পার্ক
ছিল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড। তো কি করা যায়? মনে
চাইলেই এক পলকে চেস্টার হয়ে যাওয়া যায়! তাতে স্কুলেও সুবিধা, আবার
পার্টেও একশতে একশ! কত রঙ'ই না
দেখাইলাম জীবনে।
আর এখন
চিপ ঘন হইছে, অথচ দাড়ির মিলে মিশে একাকার। চিপের কোন অস্তিত্বও
খুঁজে পাওয়া যায় না মুখে। কাটার দিকে খেয়ালও নাই। তাঁর কোন শেইপ নাই, কিচ্ছু
নাই। স্বেচ্ছায় আকায় বাকায় থাকে। কে দেখলো, আর কি
ভাবলো, সেইটা নিয়ে ভাবার সময় থাকলেও, সেইটা
নিয়ে ভাইবা সময় নষ্ট করাটা তুচ্ছ লাগে। আর চুল? ও জিনিস
যে আর কতকাল অবশিষ্ট থাকে সেই চিন্তায় তেল-নুন-হলুদ-মরিচ কোনটা রেখে কোনটা মাখবো
চিন্তা করতে করতে কিচ্ছুই করা হয় না। প্রার্থনা একটাই অন্তত বিয়ের আগ পর্যন্ত যেন
মাথায় চুল নামক বস্তুটির সগৌরব উপস্থিতি আমার বউকে না হোক, অন্তত
আমাকে মুগ্ধ করে! আর তখন?
আহা! তখন কি দিনই না ছিল! চিন্তা করলেই নিজের দার্শনিক স্বত্বা ঘেউ
করে ওঠে। "সময়ের সাথে জীবন কি রঙ বদলায়? নাকি রঙ
হারায়?"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন