০৮/০৬/২০১৬
সময় মনে করতে চাই না
প্রিয়তমার মুখে যখন
শুনতে হয় “আজকে ছেলে পক্ষ দেখতে এসেছে” এর চেয়ে অসহায়ত্ব আর কিছু নেই।
০৯/০৬/২০১৬
সময় মনে নেই
প্রিয় প্রিয়তমা,
তুমি যখন এই লিখা
পড়ছো, আমি তোমার থেকে অনেক দূরে। এই ছোট পৃথিবীতে আসলে দূর বলে কিছু নেই অবশ্য
আজকাল। ইন্টারনেট তুমি মোদের করেছো মহান। ইন্টারনেট ডিস্কানেক্ট হবার আগেই তোমাকে
লিখাটা দিয়ে যেতে পারলাম এটাই সান্তনা। গত কয়েকদিন থেকেই দুজনের চোখের যেই অবস্থা,
আমি সাহস করে বলে পারিনি “একটা ছবি দাও না?”
হ্যা, তোমার জন্যেই
আমার একমাত্র আমার ছবি তুলা ছিল নিত্যদিনের কাজ। সকাল সকাল অফিসে গেলে, তুমি ঘুম
থেকে জাগলে, হটাত দুপুরে বিকালে, সন্ধ্যায় বাসায় এসে, এর পর ঘুমাবার আগ পর্যন্ত
চলত আমাদের ছবির আদান প্রদান। সব গুলো ছবি আমি খুব স্বযত্নে রেখেছি। সাহস করি না
আবার ফোল্ডার খুলে দেখার। ফোল্ডার খুললে আর আমার চোখের দিকে তাকাতে পারবে না।
অবশ্য তাকাবা আর কিভাবে? আমিই তো আর ছবি তুলি না।
১০/০৬/২০১৬
রাত ১.২৬
আজকে ফোন দিবার আগে
বললা যে কল কি দেয়া যাবে? আমি অবাক হয়ে বলি কেন হটাত? আচ্ছা ফোনে নরমাল হাই হ্যালো
করে লাস্টে এটা কি বললে? মরার আগে মানুষ কত কি করে, তোমার সাথে কথা বলে নিলাম। আমার
হার্টবিট না মাপলেও পারতে আজকে রাতে। তোমার কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে কোনদিন ক্ষমা
করতে পারবো না। এমনেই তোমার মন খুব নরম। একটা নরম মনে আমি কি পরিমান কষ্ট দিয়েছি
সেটা আমি জানি। এর কোনদিন ক্ষমা হবে না। খোদার কাছে ক্ষমা চাইলে খোদাও মেবি ক্ষমা
করবেন না।
সেহরি করে তোমার
সাথে কথা বলে ভালো লেগেছে, সকালে ঘুম থেকে উঠে তোমার রেগুলার গুড মর্নিং এসএমএস
দেখে তোমাকে মন থেকে আজ খুব ইচ্ছে করেছে জড়িয়ে ধরে রাখি। ইফতারে তোমাকে অনেক মিস
করলাম। মনে হচ্ছিলে আমার পাশেই তুমি। আসলে আমার লাইফটাই তুমিময় হয়ে গেছে। আমি কেন
মুখ ফুটে তোমাকে বলতে পারি না আমি তোমাকে নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি? জানি
না আমার কথায় তুমি আমার আবেগ বুঝতে পারো কিনা? সেদিন বললে কেন তোমাকে এত বেশি
ভালোবাসলাম? কেন এত কেয়ার করলাম? আমি সত্যি জানি না সাদিয়া। আমি অভিনয় করতে পারি
না। অন্তত তোমার সাথে না। আমার মত পাথর মনকে তুমি নরম বানাই ফেলেছিলে। আর ড্রেস
নিয়ে তুমি যা বলেছ-আমি অবাক হই নাই। আমি কিছু মনে করি নি, ইচ্ছে হলে কাউকে দিয়ে
দিতে পারো। জানি কোনদিন এটা তুমি পড়বানা।
রাত ১১.৩০
কাল রাতে বলেছিলে,
তোমার আব্বু আমার কাছে তোমাকে গছিয়ে দিবে না, ফোন ধরার জন্যে। হুম। বল যা খুশি।
দোষ আমারি। যা বলবে তাই মাথা পেতে নিব সাদিয়া।
তোমার বাবাকে সরাসরি
কিছু বলতে পারি নাই, কিন্তু বলার সময় অনেক সময় চুপ করে ছিলাম, এক সময় দেখি চোখে
পানি চলে আসছে, কথা বলতে পারছি না, সেই ৫ মিনিট ১০ সেকেন্ড ছিল আমার জন্যে অগ্নি
পরীক্ষা। মনকে তো আজো বুঝ দিতে পারি না।
কথা দিয়েছিলাম
হারাতে দিবো না, মনের মাঝে ভয় ছিল, তবুও হারিয়ে যাও তুমি, দূরে আরো দূরে।
১১/০৬/২০১৬
বেলা ১.৫০ মিনিট
তোমার সাথে ৮/৯ মাসে
দিনে রাতে ২৪ ঘন্টা হোয়ার্টআপে আলাপ করতে করতে অভ্যাসটা ভালো লাগার পর্যায়ে চলে
গিয়েছিল। এখন সেটা ব্রেক হবার পর মনকে বুঝাতেই পারি না তুমি আর নাই। বার বার
হোয়ার্টআপে ঢুকে চেক করি তুমি কখন অনলাইন ছিলে। মনটা অনেক ভেঙ্গে গিয়েছে। কিভাবে
নিজের মনকে একটু শান্তি দিবো বুঝতেও পারছিনা। যেদিন তুমি বলেছিলে, “তোমার ঘুম তুমি
ঘুমাও আমার ঘুম আসলে আমি ঘুমাবো”, কথাটা বার বার কানে বাজতেছে, কেনো জানি মনে
হচ্ছে তোমার ভয়েসে সেটা আমি শুনতে পারছি বারবার। আসলে সম্পর্কের সুতাটা মনে হয়
সেদিনই কেটে গেছে।
হ্যা, আজকে বিকেলে
কিছু কেনা কাটা কারবো, আমাকে অন্নপূর্ণা ডাকছে। কাল একটা মজার কথা বলতে চেয়েছিলাম,
তুমি তো ঐ ছাতা মাথার ড্রেস নিয়ে কান্না কাটি শুরু করে দিলে। মজার কথা হল-আমি ঈদে
কিছু শপিং করি না। আমি ঈদে নতুন কিছু পড়ি না। ঈদের কেনা কাটা করে ফেলেছো শুনে অনেক
ভালো লেগেছে। মনকে শক্ত কর। আমার কথা আর চিন্তা করো না। আমার হয়েছে এক জ্বালা। আমিও
ভুলতে পারি না তোমাকে। বার বার পেছনেই ফিরে যাই। অনেক মজা করে আমরা দিন কাটিয়েছি,
তাই না? কোনদিন আমাদের একটু ঝগড়াও হয়নি। কেন করনি ঝগড়া? মনকে সান্তনা দিতে
পারছিনা, মনটাও শান্ত হচ্ছে না। আচ্ছা আমি যাই এখন।
১২/০৬/২০১৬
রাত ১২.২২
রাতে আজকে কথা বলেছো
অনেক আরাম লাগছে। তুমি না নক না করলে কেমন জানি অশান্তি লাগছিল। আমি তো আজকে
আম্মুকে নিয়ে একটু বিজি ছিলাম। আজকে তুমি একটা সুন্দর কথা বলেছো- “দুজনের একজন
অন্যজনের প্রতি ভালোবাসা থাকলে সেটা হারিয়ে দেয়া ঠিক না। এটা অনেক কম হয়”
হ্যা, আমি ভাগ্যবান
আমি যতদিন তোমার ভালোবাসা পেয়েছি তোমার হৃদয় উজার করা ভালোবাসা পেয়েছি। আমার মনে
হয় সেই তুলনায় আমি তোমাকে কিছুই দিতে পারি নাই। এখন তো চিঠি লিখার যুগ নেই, তাই
মনের কথাগুলা লিখে রাখছি।
আমার ভয় হচ্ছে আমি
কিভাবে তোমার ফিউচার হাজব্যান্ড, বিয়ে শাদির কথা শুনবো? কিভাবে সহ্য করবো আমি জানি
না। মাদিহার কথা মনে আছে তোমার? আমার সাথে একসাথে পড়তো? বিয়ের আগের দিন রাতে আমাকে
ফোন দিয়েছিল? কান্নাকাটি করেছিল। তার কথা মনে করে আজ তাকে নক করেছিলাম। ভালো আছে
ও। মেয়েটা তোমার মতই পাগলী ছিল। তুলনা করবো না, স্যরি। আমি কারো সাথে কারো তুলনা
করি না। মাদিহা আমাকে অনেক ভালোবেসেছিল। এখনো আমাকে ভালোবাসে। তার কথায় এখনো আমি
হারাই আমাদের কাটানো সময়গুলাতে। বুক ফেটে কান্না আসে। তাও হাসি মুখে জিজ্ঞেস করি
হানিমুন কেমন কাটছে? নেক্সট কোন দেশে যাচ্ছো ঘুরতে? বাসার সবাই কেমন আছে? কেমন যায়
দিনকাল। জানি ঐ পাড় থেকে তারও কষ্ট হচ্ছিল, তাও সব উত্তর দিয়ে গিয়েছে। আমি সেটাও
বুঝেছি ফোন রাখার পর অনেকক্ষণ কান্নাও করেছে। আমাকে জিজ্ঞেস করেছে-কাওকে পেলে রণ?
আমি বলেছি-আমার ভাগ্যে ক্রেডিট বলে কিছু নাই, সব ডেবিট।
অনেক রাত হল। নিজের
সাথে নিজেই কথা বলি, মনকে হালকা করি। চেপে রাখার মত মানুষ আমি না, মনের কথা বলতে
ব্যাকুল আমি। কাওকে যে বলবো কথা কেউ নাই, তুমিই ছিলে।
১৩/০৬/২০১৬
বিকাল ৬.১১
কালকে অনেক টায়ার্ড
ছিলাম তাই লিখতে পারিনি কিছু। আচ্ছা ছোট আম্মু মেবি আমার উপর অনেক রাগ, আমাকে মেবি
পাইলে খুন করবে, আমি বুঝতে পারছি। তার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম, আমাকে মেবি ব্লক
করে রেখেছে। মেসেজ দিলাম, ডেলিভারই হয় না। ইগনোর করলে থাক, কোনদিন আর নক করবো না।
আমি সেদিন রাতে তুমি কল দিলে যে, আমার সাথে লুকিয়ে কথা বলছিলে, হটাত করে ভাবি চলে
আসছে তোমার সামনে-বকা দিয়েছে তোমাকে। আই নো সাদিয়া। থাক তাকে কিছু বোলোনা। আমাকে
খারাপ ভাবলে ভাবুক। আমি আমার নিজের সম্মান ধরে রাখতে পারি নাই।
তুমি গত পরশুদিন
আমাকে বলছিলে ফ্যামিলি স্ট্যাটাস নিয়ে।
আমি
মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান, আচ্ছা
মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা জানো তো
? না জানলে শুনো, প্লাস
পয়েন্ট বা মুনসুন রেইনে
যখন পছন্দের কোন শার্ট দেখি,
কিনি না, ভাবি এই
টাকায় আমি নিউ মার্কেট
থেকে তিনটা কিনতে পারবো। মাসের
টাকাটা হাতে পাওয়ার পর
অনেক গুলা ভাগ করি,
এটা আম্মাকে দিবো, এটা বাজারের
খরচ, এটা নিজের জন্যে। ভালো
কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার আগে চিন্তা
করি "উফ বাকি মাস
টা কিভাবে চলবো"।
বন্ধু বান্ধব আছে অনেক
হাই ক্লাসের, তারা যখন বলে
আজকে গেট টুগেদার করবো
অই যায়গায়, কাজের বাহানা দিয়ে
পিছনে চলে যাই।
কারন বাকি মাসটা আমার
ওই টাকায় চলতে হবে।
জানো এই যে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে, তাই বলে কোনদিন এক ফোটা কষ্ট লাগে নি, উলটা মনকে বুঝাই, এই পর্যায়ে আছি বলেই হয়তো দুনিয়াটা কি বুঝতে পেরেছি। চাহিদা বা স্বপ্ন গুলোও সব সময় সীমিত। এই পর্যায়ে আছি বলেই হয়তো প্রথম প্রিয়তমার মুখে শুনতে পেরেছিলাম " তুমি গরিব, ঢাকায় তোমার বাড়ি নেই, তোমার সাথে আমার এখন আর যায় না" খারাপ কি শিখতে তো পেরেছি " মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেদের জন্য ভালোবাসা এক ধরনের বিলাসিতা"। তারপরেও যখন খুব মন খারাপ হয়ে যায়, একা একা আকাশ দেখি, ভাগ্যিস আকাশ দেখতে টাকা লাগে না, তাহলে হয়তো তাও দেখা হতো না।
আর তুমি আমাকে
ফ্যামিলি স্ট্যাটাস শিখাও? অনেক কথাই বলিনি যদি শুনে চলে যাও। আল্লাহ তোমাকে অনেক
ধর্য্য দিয়েছে, আমি তোমাকে গালি দিলেও আমার কাছেই বেশি আসছো, কেন জানি না। এত
ভালোবাসছো কেন? প্রথম তোমাকে বলিনি? মায়া কর না আমায়? শুনোনি কেন?
তুমি হয়ত ভাবছো আমি
কিভাবে তোমাকে ছাড়া কথা না বলে আছি? কিভাবে আছি সেটা দেখবে আর কিভাবে? মনে হচ্ছে
দিনে দিনে অপেক্ষা করছি কবে আল্লাহ উঠাই নিয়ে যাবে। দাঁত মুখ চেপে বসে আছি, আমি
তোমার সেই সাফাত আর নাই সাদিয়া। আমার মনটা আবার পাথর হয়ে গেছে। আজকে আমার কানে
বাজতেছে তোমার সেই কথা- “আমার আব্বু তো তোমার কাছে গছিয়ে দিবে না আমাকে।” হ্যা তাই
তো আমিই-বা কে? আমার কি-ই-বা আছে? ছন্নছাড়া জীবনে তোমাকে জড়িয়ে তোমার লাইফটা কেন
আমার মত নষ্ট করবো? সব কিছু ভেবেই আমি এই ডিসিশান নিসি। আমার আরো আগেই ভাবা উচিত
ছিল, কি করবো চেষ্টা করে গেছি ফ্যামিলিতে কোন ভাবে রাজী করাতে পারি কিনা, না তারা
রাজি না, তারা আমাকে নিয়ে কোন চিন্তাও করছে না। বিয়েও দিবে না এখন।
আচ্ছা এখন যাই,
ইফতার করবো। দোয়া করি সুখে থাকবা। এই সময় দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। মনে ভরে
প্রতিদিন তাই এই সময় তোমার জন্যে দোয়া করি।
১৪/০৬/২০১৬
সন্ধ্যা ৮.১৪
খুব ভোরে উঠে যাই
একা একা। নিঃশ্বব্দে নেমে আসি পথে। তোমার জানালা ছুঁয়ে ফিরে আসি শান্ত লোকালয়ে।
বুকের ভেতর ঝড় থামেনি তখনো...
ডুবে থাকা তার মাঝে।
চারপাশ এঁকে দেয় বৃত্ত। হাতের ভেতর গাঢ় উষ্ণতা নিয়ে আমার বসে থাকা শেষ ধাপে। তার
সাথে...
আজকে আসর নামাজ শেষ
করে কেন জানি অনেক কান্না আসলো, ইচ্ছে মত কাদলাম জায়নামাজে বসেই। এর পর মনটা একটু ঠান্ডা
হলে ঘুমাতে গেলাম, সেখানেও কাঁদলাম, ঘুমের মাঝেও কাঁদলাম। আজকে আর লিখতে পারবো না।
আমি অনেক ভেঙ্গে পড়েছি, আমার ২৪ ঘন্টাই তুমিময়। অনেক মিস করি। ২৪ ঘন্টায় ৫০ বার
মনে হয় Whatsapp চেক করি, তুমি অনলাইন কিনা? Whatsapp ও আজকাল তোমাকে
অনলাইন দেখায় না।
১৫/০৬/২০১৬
বিকাল ৬.১২
আহ তুমি এটা কি করলে? কি
বললে? আমাকে এই ভালোবাসছো? আমাকে এই মনে করছো? কাল তুমি এসব কি বলছ? গালি দিয়ে যদি
নিজে শান্তি পাও তো ওকে, সুখে থাকো। এসব না বললেও পারতা। কাল রাতে তুমি আমাকে যা
বলছ আমি বিশ্বাস করতে পারি নাই এটা তুমি। সব জায়গা থেকে ব্লক করে দিয়েছো। আমার কথা
শুনার তোমার ইচ্ছে হয়নি। ওকে। নো প্রবলেম। ভালো থাকো।
মনে করেছিলাম ৩০ তারিখের পর এই
লিখাটা তোমাকে দিবো, নাহ। আর দিবোই না। দিয়ে কি হবে? আমার খারাপ লাগা জেনে কি করবা
তুমি? আমাকে খারাপ জেনেছো ভালো করেছো। মনে করবাও না আর কোনদিন আমাকে। ভুল করেও না।
আমাকে ঘৃণা কর, বেশ করেছো। ঘৃণা করাই
স্বাভাবিক। কিছুই তো করতে পারলাম না। কথা দিয়ে কথা আর রাখতে পারিনি।
চেয়েছিলাম তোমাকেই।
আজকের পর থেকে তোমার কথা মনেও আনবো
না। কাল রাতে এসব শুনার পর একটা কথাই ভাবলাম- আমার আত্মসম্মান বলতে কিছু নেই।
যেখানে আমি নামাজে বসে বসে কাঁদি, আর এখন লিখছি ভিজা চোখে কার জন্যে? কার
ভালোবাসার টানে?
জীবনে অনেক মেয়ের সাথেই কথা বলেছি,
ঘুরেছি, কিন্তু ভালোবেসেছিলাম ৩ জনকেই। সত্যিকারে ভালোবাসা। বাট টিকাতে পারি নাই। তার
মাঝে তুমি একজন। মন উজার করে ভালো না বাসলে তোমায় নিয়ে রচনা লিখতাম না! আমি অনেক
নাটক করেছি তোমার সাথে যদি তাই মনে করে থাকো তাইলে আমি স্যরি। যদি কোনদিন পারো মাফ
করে দিও।
মনে করেছিলাম, বিয়েতো করতে পারলাম
না, বন্ধুত্বটা টিকিয়ে রাখি। নাহ, সেটা আর পসিবল না।
তুমি আমার জীবনে যতদিন পাশেছিলে সেই
প্রথমদিন থেকে তার জন্যে ধন্যবাদ। জীবনটাকে অন্যভাবে দেখা হয়েছে তোমার সাথে থেকে।
যেখানেই থাকো ভালো থাকবে এই আশা করি। তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা সময় ছিল মধুর।
কালকের ঘটনা ছাড়া তুমি আমার কাছে ছিলে বেহেশ্তের হুর পরী। যেখানেই থাকো দোয়া করি
ভালো থাকো, সুখে থাকো।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন