মেয়েটা খুব বিজি বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে। ছেলেটার কোন ব্যস্ততা নেই। ছেলেটা আকাশে তাকিয়ে মেঘ দেখে, বৃষ্টি হলে দুহাত প্রসারিত করে বৃষ্টি স্পর্শ করে। তারপর সেই বৃষ্টিস্নাত হাতটা মুখে মাখে। ছেলেটা নদীর ধারে যায়, নদী দেখে। মেয়েটা মহাব্যস্ত জেনেও ছেলেটা ফোন দেয়। ব্যস্ত মেয়েটা কি ফোন ধরবে? ওমা! ধরলোইতো!
-একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
-কী কথা?
-কী করো?
-বিয়ের কেনাকাটা।
-শাড়ি?
-শাড়ি, গহনা সব।
-আর?
-উফ! বললামতো সব।
-বিরক্ত হচ্ছো?
-না।
-উফ! বলছো কেন?
-উফ! ঠিক আছে আর বলবোনা। তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বলো।
-আমি জানি বিয়েটা তোমাদের বাড়িতে হচ্ছেনা।
-তো? কোথায় হচ্ছে জানতে চাও?
-না না। খবরদার আমাকে বলবানা।
-কেন?
-আমি যদি বিয়ের সময় হাজির হয়ে যাই? যদি ওখানে গিয়ে পাগলামী করি? যদি তোমাকে টানাহ্যাঁচরা করি?
-তুমি করবানা আমি জানি।
-না না। আমিতো পাগল। পাগলরা কখন কী করে তা তারা নিজেরাও জানেনা।
-এটাই তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথা?
-না।
-তো?
-আজকের পর আমি যদি তোমাকে ফোন দেই তাহলে তুমি রিসিভ করবানা।
-আচ্ছা।
-শোনোনা, আমি কিন্তু বারবার ফোন দেবো। আমার নিজের ভেতর কোন কন্ট্রোল থাকবেনা। কিন্তু তুমি ফোন রিসিভ করবানা। আমি কিন্তু শত শত টেক্সট করবো, তুমি টেক্সটগুলো ওপেন করবানা। কারন টেক্সট পড়ে তুমি ইমোশনাল হয়ে যেতে পারো। তোমার মন খারাপ হয়ে যেতে পারে।
-গুরুত্বপূর্ণ কথা শেষ?
-না। আরো আছে।
-বলো।
-বিয়ের আগের দিন তুমি সিম চেইঞ্জ করবা, ওকে?
-কেন?
-আমারতো মাথা ঠিক থাকবেনা। আমি বারবার ফোন করবো। এরচেয়ে তোমার নাম্বার বন্ধ পেলে সেটাই ভাল। আর হ্যাঁ আমি বারবার ফোন করাতে যদি তোমার জামাই জিজ্ঞেস করে কে ফোন করছে, তুমি বলবা আননোন নাম্বার, বখাটে ছেলে ডিস্টার্ব করে।
-হু
-আর শোনোনো।
-বলো।
-তুমি নাম্বার চেইঞ্জ করলেও কিন্তু আমি নাম্বার খোঁজার ট্রাই করবো। তোমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের কাছে তোমার নতুন নাম্বার দিওনা। ওদের বলে দিও ওরা যেন আমাকে তোমার কোন ইনফরমেশন না দেয়।
-হু
-আর একটা কথা। কেউ কেউ তোমার কানে দেয়ার চেষ্টা করবে আমি সিক হয়ে গেছি। তুমি কিন্তু এটা ভেবে মন খারাপ করবানা। আমি কিন্তু সিক হবোনা। আর সিক হলেইবা কী? বাবা-মা মরে গেলেও তো মানুষ বেশিদিন সিক থাকেনা, তাইনা? আমি হয়তো কয়েকদিন সিক থেকে তারপর দিব্যি সুস্থ হয়ে যাবো। তুমি একদম চিন্তা করবানা। ঠিক আছে?
মেয়েটা আর কথা বলতে পারেনা। ফোন কেটে দেয়। তার দু-চোখ বেয়ে অঝোরে পানি পড়ছে। ছেলেটা আবার ফোন দেয়। মেয়েটা রিসিভ করেনা। ছেলেটা আবারো ফোন দেয়। মেয়েটা কাদেঁ, রিসিভ করেনা। ছেলেটা টেক্সট দেয়... প্লিজ প্লিজ.. একবার রিসিভ করো। মেয়েটা টেক্সট খোলার সাহস পায়না। সে জানে ঐ টেক্সটটে কী লেখা আছে! ছেলেটা আবার ফোন দেয়। মেয়েটা ফোন কেটে দিয়ে ফোনটা অফ করে। শপিংয়ের তালিকায় যুক্ত করে, নতুন সিম!
Apel Mahmud
August 25, 2015
-একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
-কী কথা?
-কী করো?
-বিয়ের কেনাকাটা।
-শাড়ি?
-শাড়ি, গহনা সব।
-আর?
-উফ! বললামতো সব।
-বিরক্ত হচ্ছো?
-না।
-উফ! বলছো কেন?
-উফ! ঠিক আছে আর বলবোনা। তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বলো।
-আমি জানি বিয়েটা তোমাদের বাড়িতে হচ্ছেনা।
-তো? কোথায় হচ্ছে জানতে চাও?
-না না। খবরদার আমাকে বলবানা।
-কেন?
-আমি যদি বিয়ের সময় হাজির হয়ে যাই? যদি ওখানে গিয়ে পাগলামী করি? যদি তোমাকে টানাহ্যাঁচরা করি?
-তুমি করবানা আমি জানি।
-না না। আমিতো পাগল। পাগলরা কখন কী করে তা তারা নিজেরাও জানেনা।
-এটাই তোমার গুরুত্বপূর্ণ কথা?
-না।
-তো?
-আজকের পর আমি যদি তোমাকে ফোন দেই তাহলে তুমি রিসিভ করবানা।
-আচ্ছা।
-শোনোনা, আমি কিন্তু বারবার ফোন দেবো। আমার নিজের ভেতর কোন কন্ট্রোল থাকবেনা। কিন্তু তুমি ফোন রিসিভ করবানা। আমি কিন্তু শত শত টেক্সট করবো, তুমি টেক্সটগুলো ওপেন করবানা। কারন টেক্সট পড়ে তুমি ইমোশনাল হয়ে যেতে পারো। তোমার মন খারাপ হয়ে যেতে পারে।
-গুরুত্বপূর্ণ কথা শেষ?
-না। আরো আছে।
-বলো।
-বিয়ের আগের দিন তুমি সিম চেইঞ্জ করবা, ওকে?
-কেন?
-আমারতো মাথা ঠিক থাকবেনা। আমি বারবার ফোন করবো। এরচেয়ে তোমার নাম্বার বন্ধ পেলে সেটাই ভাল। আর হ্যাঁ আমি বারবার ফোন করাতে যদি তোমার জামাই জিজ্ঞেস করে কে ফোন করছে, তুমি বলবা আননোন নাম্বার, বখাটে ছেলে ডিস্টার্ব করে।
-হু
-আর শোনোনো।
-বলো।
-তুমি নাম্বার চেইঞ্জ করলেও কিন্তু আমি নাম্বার খোঁজার ট্রাই করবো। তোমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের কাছে তোমার নতুন নাম্বার দিওনা। ওদের বলে দিও ওরা যেন আমাকে তোমার কোন ইনফরমেশন না দেয়।
-হু
-আর একটা কথা। কেউ কেউ তোমার কানে দেয়ার চেষ্টা করবে আমি সিক হয়ে গেছি। তুমি কিন্তু এটা ভেবে মন খারাপ করবানা। আমি কিন্তু সিক হবোনা। আর সিক হলেইবা কী? বাবা-মা মরে গেলেও তো মানুষ বেশিদিন সিক থাকেনা, তাইনা? আমি হয়তো কয়েকদিন সিক থেকে তারপর দিব্যি সুস্থ হয়ে যাবো। তুমি একদম চিন্তা করবানা। ঠিক আছে?
মেয়েটা আর কথা বলতে পারেনা। ফোন কেটে দেয়। তার দু-চোখ বেয়ে অঝোরে পানি পড়ছে। ছেলেটা আবার ফোন দেয়। মেয়েটা রিসিভ করেনা। ছেলেটা আবারো ফোন দেয়। মেয়েটা কাদেঁ, রিসিভ করেনা। ছেলেটা টেক্সট দেয়... প্লিজ প্লিজ.. একবার রিসিভ করো। মেয়েটা টেক্সট খোলার সাহস পায়না। সে জানে ঐ টেক্সটটে কী লেখা আছে! ছেলেটা আবার ফোন দেয়। মেয়েটা ফোন কেটে দিয়ে ফোনটা অফ করে। শপিংয়ের তালিকায় যুক্ত করে, নতুন সিম!
Apel Mahmud
August 25, 2015
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন