আপনার কি কন্যা সন্তান আছে? তবে আপনাকেই বলছি। শুনুন প্লিজঃ
প্রিয় কন্যা সন্তানের পিতা/মাতা,
আপনার কন্যা দেখতে যেমন ই হোক, যেমন ই হোক তার শারীরিক গঠন বা উচ্চতা... আপনার কাছে নিশ্চয়ই সে একজন রাজকন্যা। আপনার এই রাজকন্যাকে বড় করেন কত না ভালোবাসায়। কাঁথা জড়িয়ে তাকে প্রথমবার কোলে নেওয়ার দিনটা যেমন আপনাকে কাঁদায়, একটু দেরীতে ঘরে ফিরলে তার চিন্তা আপনাকে তেমন ই ভাবায়।
অজানা ভয়, শঙ্কা আর আপনার এক গুচ্ছ সপ্ন নিয়ে বড় করেন আপনার রাজকন্যাকে। সে রাজকন্যা বড় হলে তাকে অন্য রাজত্বে পাঠিয়ে দিতে হয়। এটাই নিয়ম। কোন এক রাজপুত্র এসে নিয়ে যায় আপনার রাজকন্যা।
মা/বাবা, সেই রাজপুত্র নির্বাচনে প্রথমেই কেন তার আর্থিক অবস্থা দেখেন? কেন দেখেন তার বাবার টাকা আছে কিনা? দেখতে ভালো রাজপুত্র মানুষ ও ভালো এমনটা কেন ভাবেন আপনারা? হ্যা, অবশ্যই বলবেন, চাই যেন আমার রাজকন্যা সুখে থাকে। সমাজে নিজের স্বামীকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।
তবে একটু আমাকে সুখের সংজ্ঞাটা দিবেন কি? সুখ মানে কি আভিজাত্য। দামী শাড়ি, গয়না, টাকা, পয়সা!!!! যদি তা হয় তবে সেগুলো তে আপনি নিজেই করতে পারেন আর যদি না হয় তবে কেন ভালো পেশার পয়সাওয়ালা ছেলে দেখলেই মেয়েকে তার কাছে সারা জীবনের জন্য দিয়ে দিতে অস্থির হয়ে যান? এত কিসের তাড়া আপনার?
এই আপনি ই জন্মের পর এতটুকু শিশুটাকে এত বছর ধরে এতবড় করেছেন। তবে আর কটা দিন অপেক্ষা করলে কি ক্ষতি হয় বলুন!
আপনার রাজকন্যাকে বিয়ে দেওয়ার আগে রাজপুত্রটাকে ভালো করে চিনুন, জানুন, বুঝুন। সে আপনার রাজকন্যাকে কতটুকু বুঝে তা দেখুন। তার চরিত্র, লালসা, চাহিদা সম্পর্কে একটু ধারণা নিন। এতটুকু করলে হয়ত আপনার রাজকন্যাকে বিয়ের পর বালিশে মুখ লুকিয়ে বা বাথরুমের শাওয়ার ছেড়ে কাঁদতে হবেনা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন