বন্ধু নিয়ে বলতে গেলে বলে শেষ করা যাবে না আপাতত, তাই আরেক দফা নিয়ে বসলাম আজকে। তো বন্ধুদের কে কেমন হয় তার কিছু নমুনা আজকে দিবো, কিন্তু ব্যবহারিক দিক দিয়ে বন্ধুত্বের তুলনা করলে কয়েক হাজারবার চিন্তা করা লাগবে নিজে কি করেছি বন্ধুদের সাথে।
আমি সহজ বাংলায় বলতে ভালোবাসি, শুনতে ভালোবাসি, তাই আমার লিখা সাধারণ। কথা গুলাও সাধারণ হয়ে থাকে। আমার কাছে বন্ধুত্ব অনেক কিছু, এটা কিসের সাথে তুলনা দেয়া যায় জানা নেই আমার।
ইদানিং কিছু কিছু বন্ধুরা দূরে সরে গিয়েছে, আবার নিজেই কারো সাথে দূরত্ব বজায় রেখে নিজে চলছি, কেউ সময়ের কারনে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে পারছে না, কিন্তু মাঝে মাঝে ঠিকই খোঁজ খবর নেয়, তখন নিজের কাছেই লজ্জা লাগে আমিও তো খবর নেই নাই।
আমার নিজের কথা বললে আমি ইউনিভার্সিটিতে যার সাথে কোনদিন কোন ক্লাস করি নাই, কথা বলি নাই, দূর থেকে দেখতাম, সে একটা সময় আমার কলিগ প্লাস বন্ধু হয়ে যাবে ভাবি নাই, আবার পুরাতন চাকরি ছেঁড়ে নতুন চাকরিতে আসার পর কিছু কলিগ বন্ধু হয়ে যাবে সেটাও ভাবি নাই।
আমার কিছু ট্রাভেলমেট আছে যাদের সাথে আমি নিজে গিয়ে সেইফ ফিল করি, আরাম পাই, মজা পাই। মজায় মজায় কিভাবে ৩/৪ টা দিন কেটে যায় জানি না। কিন্তু অন্য কারো সাথে গেলে কেন সেই সেইম ফিল/মজা পাই না তা জানি না।
আবার কিছু বন্ধু আছে যারা নিজের সুখবর (বিয়ে/বউ/বাবা/মা/চাকরি) জানায় না, জানতে হয় ফেসবুক থেকে, মাঝে মাঝে ভাবি ব্যাচমেট আর বন্ধুর মাঝে তফাতটা কি?
আমার এক কলিগ কাম ফ্রেন্ড এই তফাতটা খুব সুন্দর করে চুলচেরা বিশ্লেষন করতে পারে, তফাতটা একটু ভাবলেই বুঝা যায়, খালি চোখে যা আপনি ধরতে পারবেন না। আর বিপদেই আসল বন্ধুত্বের পরিচয় আমি বার বার প্রমাণ পেয়েছি অথবা নিজে দিয়েছি।
সাদামাটা বন্ধুত্ব সারাজীবন আপনাকে হেল্প না করলেও একটা টাইমে দেখবেন আপনার সেই সাদামাটা ফ্রেন্ডটাই অনেক হেল্প করে ফেলেছে আপনার জন্যে। সেটা টাকা পয়সা দিয়ে হোক আর সেটা মানসিকভাবে হউক।
কিন্তু এটাও সত্য যে আগের মত বন্ধুত্ব এখন আর নাই। আমার আব্বার কথাই বলে আজকে শেষ করি। নিজের বন্ধুর জন্যে ১৯৮০ সালে চাকরির এক্সামের প্রক্সি দিয়ে বাংলাদেশের সেরা টোবাকো কোম্পানিতে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। এখন সেই বন্ধু মাসে ৫ লাখ টাকা স্যালারী পায়, আর আমার আব্বা মাসে ৫৩ হাজার পায়, তাই বলে কি বন্ধুত্ব খারাপ হয়েছে? অথবা হিংসা হয়েছে? তারপরও তাদের মাঝে এখনো বন্ধুত্ব অটুট।
(চলবে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন